বিজ্ঞাপন

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে ২৩ মে

March 25, 2021 | 8:03 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশে চলমান করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ঈদুল ফিতরের আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদুল ফিতরের পর আগামী ২৩ মে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান শুরু হবে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে রাত পৌনে ৮টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় ৩০ মার্চ দেশের সব স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে করোনা সংক্রমণ কমতে থাকলেও পরে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই সংক্রমণের চিত্র বিপরীতমুখী হতে থাকে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হঠতে হলো সরকারকে।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়েরের সই করা বার্তায় জানানো হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান আগামী ঈদুল ফিতরের পরে শুরু হবে।

বিজ্ঞাপন

বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে অতি সম্প্রতি চলমান বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা দেওয়ায় শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনা করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান আগামী ঈদুল ফিতরের আগে শুরু না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বার্তায় আরও বলা হয়, ঈদুল ফিতরের পর আগামী ২৩ মে থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্কুল-কলেজে পাঠদান শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগ পর্যন্ত সময়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।

এর আগে, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। ওই সময় ১৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর দ্বিতীয় দফায় ৯ এপ্রিল ও তৃতীয় দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সেই ছুটি বাড়ানো হয়। সেই ছুটি বাড়তে বাড়তে ঠেকেছে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। পরে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (কওমি ছাড়া) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে এরই মধ্যে একে একে গত বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষাজুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের এইচএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষাও বাতিল করা হয়। সবশেষ প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পর্যন্ত সব শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষাও নেওয়া হয়নি।

সারাবাংলা/টিএস/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন