বিজ্ঞাপন

‘নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, তবে পুলিশ নৌকার সমর্থকদের হয়রানি করেছে’

June 15, 2022 | 7:21 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

কুমিল্লা থেকে: কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। তবে নৌকার সমর্থকদের হয়রানি করার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

রিফাত বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। কিন্তু পুলিশ অন্তত সাত থেকে আটটি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের লোক দেখলেই হয়রানি করেছে। এমনকি মারধরও করা হয়েছে কিছু কেন্দ্রে।

বুধবার (১৫ জুন) কুসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে সারাবাংলাকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন। এই নির্বাচনের ফলঘোষণাও এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে ১৩টি কেন্দ্রের ফলে।

আরও পড়ুন- ধীর গতিতে হলেও ভালো ভোট হয়েছে, ফল মেনে নেব: সাক্কু

বিজ্ঞাপন

কুসিক ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রিফাত বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কোনো কেন্দ্রেই কাউকে ডিস্টার্ব করেনি। তারা সড়কের পাশে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু সেখানে পুলিশ নানাভাবে তাদের হয়রানি করেছে। একটি বা দুইটি কেন্দ্র নয়, বরং সাত থেকে আটটি ওয়ার্ডের কেন্দ্রে এমন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। এটি আসলে ঠিক হয়নি। তাই কিছুটা কষ্ট তো পেয়েছিই। কর্মীদের গায়ে যদি বিনা কারণে হাত দেয়, কারই বা ভালো লাগবে?

ওয়ার্ডগুলোর তথ্য জানিয়ে রিফাত বলেন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরাইশ প্রাথমিক স্কুলে পুলিশ আমার কর্মীদের হয়রানি করেছে। এছাড়াও ছয় নম্বর ওয়ার্ড, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের গন্ধমতি ভোটকেন্দ্রে আমার সমর্থকদের হয়রানি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- ১৩ কেন্দ্রে সাক্কুর চেয়ে ১৪৪ ভোটে এগিয়ে রিফাত

বিজ্ঞাপন

তবে কর্মীদের হয়রানি করলেও নির্বাচনে নিজের জয়ের বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেন আরফানুল হক রিফাত। তিনি বলেন, কুমিল্লাবাসী আমাকেই মেয়র হিসেবে বেছে নেবে। এ বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।

এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট নেওয়া হয় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১০৫টি কেন্দ্রে। সবগুলো কেন্দ্রেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোট নেওয়া হয়। ভোট শেষে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও ফলাফল পরিবেশন কেন্দ্র থেকে একীভূত ফলঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন- ভোট শেষে কুমিল্লাজুড়ে একটাই প্রশ্ন— মেয়র হলেন কে?

ভোট শেষে কুসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬০ শতাংশের কম-বেশি (১-২ শতাংশ) ভোট পড়েছে। কয়েকটি কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ের পর পর্যন্তও ভোট চলছিল।

বিজ্ঞাপন

এবারের কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৮৯টিকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রাখে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে সদর দক্ষিণে ১৯ থেকে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৩২টি ভোটকেন্দ্র বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত ছিল। এই কেন্দ্রগুলো সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বেষ্টনীতে রাখার কথাও জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আরও পড়ুন- ইভিএম ত্রুটিতে ৪২ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ কুসিকের ৫ নং ওয়ার্ডে

কুসিকের তৃতীয় এই নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন পাঁচ জন প্রার্থী। এর আগের দুই নির্বাচনেই মেয়র পদে ভোটে নির্বাচিত হন মনিরুল হক সাক্কু। এছাড়া এবারে কাউন্সিলর পদে ১০৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এই সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ১৭ হাজার ৯২, পুরুষ ভোটার এক লাখ ১২ হাজার ৮২৬।

আরও পড়ুন-

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন