বিজ্ঞাপন

নুসরাত হত্যার ‘অন্যতম পরিকল্পনাকারী’ হাফেজ কাদির গ্রেফতার

April 17, 2019 | 6:27 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার আসামি আব্দুল কাদিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর মিরপুরের পীরেরবাগ ছাপড়া মসজিদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

কাদেরকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বুধবার (১৭ এপ্রিল) পিবিআইয়ের প্রধান ডিআইজি বনোজ কুমার মজুমদার সারাবাংলাকে জানান, পীরেরবাগে বড় ভাই আব্দুর রহিমের বাসায় এজাহারভুক্ত আসামি হাফেজ আব্দুল কাদির আত্মগোপনে ছিলেন। কাদিরের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর পিবিআইয়ের একটি টিম তাকে ধরতে অভিযান চালায়।

মেসেঞ্জার-ইনবক্সে খবর জানাবে সারাবাংলা News BOT

পিবিআই প্রধান জানান, হাফেজ আবদুল কাদির নুসরাত হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী। তিনি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক এবং ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

পিবিআই জানায়, নুসরাতকে যৌন নিপীড়নের মামলায় সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা কারাগারে রয়েছেন। নুসরাত হত্যা মামলার আসামি নুর উদ্দিন, শাহাদাত, শামীমরা গত ৪ এপ্রিল কারাগারে অধ্যক্ষ সিরাজের সঙ্গে দেখা করেন। ওইদিন নুসরাতকে হত্যার জন্য অধ্যক্ষ সিরাজ তাদের নির্দেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

অধ্যক্ষের নির্দেশ পাওয়ার পরদিন ৫ এপ্রিল মাদরাসার পশ্চিম হোস্টেলের একটি কক্ষে পরিকল্পনাকারীরা বৈঠক করেন। ওই কক্ষটিতে হাফেজ আব্দুল কাদির থাকতেন। নুসরাতকে হত্যার পরিকল্পনার সঙ্গে হাফেজ আবদুল কাদির প্রথম থেকেই জড়িত ছিলেন—জানায় পিবিআই।

পিবিআইয়ের প্রধান বনোজ কুমার জানান, ৫ এপ্রিল মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হবে। এ জন্য তিনটি বোরখা ও কেরোসিন কিনতে কামরুন্নাহার মনিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। মনি ৬ এপ্রিল সকালে এক লিটার কেরোসিন ও তিনটি বোরখা মাদরাসা প্রাঙ্গণে অবস্থিত সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে রাখেন। ওইদিন সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে যান নুসরাত জাহান রাফি। পরীক্ষা শুরুর আগে সকাল ৯টার দিকে নুসরাতকে কৌশলে ছাদে ডেকে নিয়ে যায় আসামিরা। এরপর ওড়না দিয়ে হাত বেঁধে কেরোসিন ঢেলে নুসরাতের গায়ে আগুন লাগানো হয়। আগুনে গুরুতর দগ্ধ হন নুসরাত।

এদিকে ব্দুল কাদিরের মামা মাহবুবুল আলম জানান, সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার অনুগত হিসেবে আব্দুল কাদির ওই মাদরাসার হোস্টেলে থাকতেন।

বিজ্ঞাপন

আগুনে দগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

নুসরাতকে আগুন দেওয়ার ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই ৮ এপ্রিল মামলা করেন। ওই মামলায় এ পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। এদের মধ্যে আট আসামির নাম এজাহারে রয়েছে।

সারাবাংলা/ইউজে/একে

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

নুসরাত হত্যার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি
নুসরাত হত্যায় সরাসরি জড়িত মনির ৫ দিনের রিমান্ড
নুসরাত হত্যায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট
‘অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে নুসরাতের এই পরিণতি হতো না’
নুসরাত হত্যার বিচার দাবিতে অধ্যক্ষের কুশপুত্তলিকা দাহ
একমাসের মধ্যে নুসরাত হত্যা মামলার রায় চায় মানবাধিকার কমিশন
নুসরাত হত্যায় কেরোসিন ও বোরখা এনেছিল মনি, ফেনীতে গ্রেফতার
নুসরাতের ভাই নোমানের চাকরি হলো এনআরবি ব্যাংকে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন