বিজ্ঞাপন

নৌকার প্রার্থী বাছাইয়ে সাদামাটা চমক, ৬৯ এমপি বদলের বিস্তারিত

November 26, 2023 | 11:59 pm

নৃপেন রায়, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রতিটি আসনের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন গড়ে ১১ জনের বেশি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তুলনায় কম হলেও দ্বাদশের ভোটযুদ্ধে এখান থেকে দলের পক্ষে যোগ্যতম প্রার্থী বাছাইয়ের কাজটি কম চ্যালেঞ্জিং ছিল না। টানা তৃতীয় মেয়াদ পেরিয়ে এসে জাতীয় নির্বাচনে জয়রথ অব্যাহত রাখতে সেই কাজটি শেষ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দুটি আসন বাদ রেখে ২৯৮ আসনের জন্যই প্রার্থিতা নিশ্চিত করেছেন দলটি

বিজ্ঞাপন

জাতীয় নির্বাচনে দলের সেরা প্রার্থী বেছে নেওয়ার পথে বর্তমান সংসদের বেশ কয়েকজন সদস্যকেই বাদ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বাদ পড়েছেন বর্তমান মন্ত্রিসভার তিনজন প্রতিমন্ত্রীও। অন্যদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নানা বিবেচনায় বাদ পড়া কেন্দ্রীয় অনেক নেতাকে এবারে দেওয়া হয়েছে মনোনয়ন। আবার বর্তমান সংসদ সদস্যদের বাদ দিয়ে তাদের সন্তানদের মূল্যায়ন করা হয়েছে মনোনয়নে। আগের কয়েকবারের মতোই এবারও কয়েকজন সাবেক আমলা, তারকা ও খেলোয়াড়কে নৌকার মাঝি হিসাবে মূল্যায়িত করেছে দলটি।

রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৪টার পর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ওবায়দুল কাদের। এর আগে সকালে সব মনোনয়নপ্রত্যাশীকে নিয়ে গণভবনে মতবিনিময় সভা করেন দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছিল তিন হাজার ৩৬২টি। এসব মনোনয়ন ফরম নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) থেকে বৈঠকে বসে দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড। টানা তিন দিনের বৈঠক থেকে আট বিভাগে দলের প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত হয়।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন-

আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের তালিকা বিশ্লেষণে দেখা যায়, দলটির নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দলগুলো ছাড়াও জাতীয় পার্টির জন্য এর আগে ছেড়ে দেওয়া আসনগুলোতেও এবার প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তাতে অনেকের মনোনয়নভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়েছে। তবু বর্তমান সংসদের ৬৯ জন সংসদ সদস্য এবারও দলের মনোনয়ন চেয়ে পাননি। এদের মধ্যে তিনজন প্রতিমন্ত্রীও রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

কেন্দ্রীয় নেতারাও এবার সংসদের দৌড়ে

একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনি মনোনয়নের লড়াইয়ে বাদ পড়েছিলেন আওয়ামী লীগের তৎকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণবিষয়ক মন্ত্রী ও বর্তমানে সভপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, তৎকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক। তাদের মধ্যে বি এম মোজাম্মেল হক ছাড়া বাকিদের দ্বাদশের ভোটযুদ্ধে দলের প্রার্থী হিসাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে।

এ ছাড়া এবার কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে প্রথমবারের মতো মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন— সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল; আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ; কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী; এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ডা. মো. মুশফিক হোসেন চৌধুরী।

‘বিতর্ক’ থাকলেও পুনর্মূল্যায়ন

বর্তমান সংসদের কয়েকজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ থাকলেও তাদের পুনরায় মূল্যায়ন করেছে আওয়ামী লীগ। আবার এর আগে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ‘বিদ্রোহী’ হয়ে নির্বাচন করে জয় পাওয়া সাবেক এক সংসদ সদস্যকেও উত্তরবঙ্গের একটি আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

রাজধানী-১০ আসনে চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমদকে মনোনয়ন দেওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতাকর্মীদের নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। আবার আগের নির্বাচনের মতো এবারও কয়েকজন সাবেক আমলা ও তাদের আত্মীয়স্বজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। নারী নেতৃত্ব মাথায় রেখে বর্তমান সংসদের নারী সংসদ সদস্যদের বাইরে আরও কয়েকজন নারীকে দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ থেকে দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করছেন ওবায়দুল কাদের। ছবি: সুমিত আহমেদ/সারাবাংলা

রংপুর বিভাগে যারা নতুন নৌকা পেলেন, বাদ পড়লেন যারা

পঞ্চগড় জেলার দুটি আসনের মধ্যে পঞ্চগড়-১ থেকে বাদ পড়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান। তার জায়গায় মনোনয়ন পেয়েছেন নাঈমুজ্জামান ভুইয়াঁ। পঞ্চগড়-২ আসনে নূরুল ইসলাম সুজন এবারও প্রার্থী হয়েছেন। দিনাজপুর জেলার ছয় আসনের কোনোটিতেই নতুন কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। দলের মনোনয়ন পাওয়া সবাই বর্তমান সংসদেরও সদস্য।

ঠাকুরগাঁওয়ের তিনটি আসনের মধ্যে ঠাকুরগাঁ-১ আসন থেকে রমেশ চন্দ্র সেন ফের মনোনয়ন পেয়েছেন। ঠাকুরগাঁও-২ আসনের দবিরুল ইসলামের জায়গায় নৌকা পেয়েছেন তার ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম। আর আগে জোটের শরিক দল জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া ঠাকুরগাঁও-৩ থেকে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন মো. ইমদাদুল হক।

নীলফামারীর চারটি আসনের মধ্যে প্রথম দুটি আসনে আফতাব উদ্দিন সরকার ও আসাদুজ্জামান নূরকে ফের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। একাদশে বাকি দুটি আসন ছিল জাতীয় পার্টির। এবারে দুটি আসনের মধ্যে নীলফামারী-৩ আসনে গোলাম মোস্তফা ও নীলফামারী-৪ আসনে জাকির হোসেন বাবুল মনোনয়ন পেয়েছেন।

লালমনিরহাটের প্রথম দুটি আসনে মোতাহার হোসেন ও নুরুজ্জামান আহমেদের প্রার্থিতা এবারও বহাল আছে। লালমনিরহাট-৩ আসনে মতিয়ার রহমানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যেখানে বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির জি এম কাদের।

রংপুরের ছয়টি আসনের মধ্যে রংপুর-১ ও রংপুর-৩ ছিল জাতীয় পার্টির। এ দুটি আসনে যথাক্রমে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল। রংপুর-৫ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান এমপি এ এইচ এন আশিকুর রহমানের ছেলে রাশেক রহমান। বাকি তিন আসনে বর্তমান এমপিরাই ফের মনোনয়ন পেয়েছেন।

কুড়িগ্রামের চারটি আসনের মধ্যে প্রথম আসনে আছলাম হোসেন সওদাগর ফের দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। কুড়িগ্রাম-২ আসনে বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির। এই আসনে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন মো. জাফর আলী। বাকি দুটি আসনে এম এ মতিন এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বাদ পড়েছেন। মনোনয়ন পেয়েছেন যথাক্রমে সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে ও বিপ্লব হাসান।

গাইবান্ধার পাঁচটি আসনের মধ্যে গাইবান্ধা-৪ আসনে মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরীকে বাদ দিয়ে সাবেক এমপি আবুল কামাল আজাদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আর গাইবান্ধা-১ আসনটিতে বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী। এই আসনে আফরোজা বারীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

রাজশাহী বিভাগে যারা নতুন মনোনয়ন পেলেন, বাদ পড়লেন যারা

জয়পুরহাটে দুটি আসনে দলীয় প্রার্থী পরিবর্তন করেনি আওয়ামী লীগ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার তিন আসনের কোনোটিতেও আসেনি পরিবর্তন।

বগুড়ার সাত আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের এমপি ছিল তিনটি আসনে। এর মধ্যে বগুড়া-৫ আসনে হাবিবুর রহমানের জায়গায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মজনুকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বগুড়া-১ সাহাদারা মান্নান ও বগুড়া-৬ রাগেবুল আহসান রিপু পুনরায় মনোনয়ন পেয়েছেন। বগুড়া-২ ও বগুড়া-৩ ছিল জাতীয় পার্টির আসন। এই দুই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন যথাক্রমে তোহিদুর রহমান মানিক ও সিরাজুল ইসলাম খান রাজু। এ ছাড়া জাসদের বগুড়া-৪ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, স্বতন্ত্র বগুড়া-৭ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মোস্তফা আলম।

নওগাঁর পাঁচ আসনের মধ্যে দুটিতে নতুনদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। নওগাঁ-৩ আসনে মো. ছলিম উদ্দীন তরফদার ও নওগাঁ-৪ আসনে মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিককে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী ও নাহিদ মোর্শেদকে।

রাজশাহীতেও ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটিতে বর্তমান এমপিকে বাদ দিয়ে নতুনদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। রাজশাহী-৩ আসনে মো. আয়েন উদ্দিনের বদলে আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী-৪ আসনে এনামুল হকের জায়গায় আবুল কালাম আজাদ ও রাজশাহী-৫ আসনে মনসুর রহমানের বদলে আব্দুল ওয়াদুদ মনোনয়ন পেয়েছেন। রাজশাহী-২ আসন ছিল জোটের শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির, যেখানে এবার মোহাম্মদ আলীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

নাটোরের চারটি আসনের সবগুলোতেই বর্তমান এমপিরাই আবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে সিরাজগঞ্জের ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটিতে বর্তমান এমপির জায়গায় নতুন মুখ দেওয়া হয়েছে। সিরাজগঞ্জ-২ আসনে হাবিবে মিল্লাতের পরিবর্তে জান্নাত আরা হেনরী, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে তানভীর ইমামের পরিবর্তে শফিকুল ইসলাম ও সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে মেরিনা জাহানের পরিবর্তে চয়ন ইসলামকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

পাবনা জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে একটি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। পাবনা-৪ আসনটিতে মো. নুরুজ্জামান বিশ্বাসকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে গালিবুর রহমান শরীফকে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ওই আসনের সাবেক এমপি ও ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর ছেলে।

দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার সময় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছিল নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি। ছবি: সুমিত আহমেদ/সারাবাংলা

খুলনা বিভাগে নতুন মনোনয়ন আর বাদ পড়াদের তালিকায় যারা

মেহেরপুর দুটি আসনের মধ্যে মেহেরপুর-২-এ মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের পরিবর্তে আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হককে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ঝিনাইদহ চারটি আসনের মধ্যে তিনটিতেই পরিবর্তন আসেনি। শুধু ঝিনাইদহ-৩ আসনে মো. শফিকুল আজম খাঁনের জায়গায় এবার নৌকা পেয়েছেন সালাহ উদ্দিন মিয়াজী।

কুষ্টিয়ার চারটি আসনের মধ্যে তিনটি আসনে কোনো পরিবর্তন আসেনি আওয়ামী লীগের প্রার্থিতার। কুষ্টিয়া-২ আসনে জোটের শরিক দল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু সংসদ সদস্য ছিলেন। এ আসনে এখনো প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনেও প্রার্থী পরিবর্তন হয়নি।

যশোরের ছয়টি আসনের মধ্যে মধ্যে চারটি অপরিবর্তিত রেখে দুটি আসনে নতুন প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে যশোর-২ আসনে নাসির উদ্দিনের পরিবর্তে তৌহিদুজ্জামান ও যশোর-৪ আসনে রনজিত কুমার রায়ের পরিবর্তে এনামুল হক বাবুল মনোনয়ন পেয়েছেন। মাগুরার দুটি আসনের মধ্যে পরিবর্তন এসেছে কেবল মাগুরা-১ আসনে। এই আসনে মো. সাইফুজ্জামানকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসানকে। পরিবর্তন আসেনি নড়াইলের দুটি আসনেও।

বাগেরহাটের তিনটি আসনের মধ্যেও পরিবর্তন এসেছে মাত্র একটিতে। বাগেরহাট-৪ আসনে মো. আমিরুল আলম মিলনের জায়গায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ নৌকা পেয়েছেন।

খুলনার ছয় আসনের মধ্যে তিনটি আসনে বর্তমান সংসদ সদস্যরা প্রার্থিতা পাননি। খুলনা-১ আসনে পঞ্চানন বিশ্বাসের জায়গায় ননী গোপাল মণ্ডল, খুলনা-৩ আসনে প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের বদলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন এবং খুলনা-৬ আসনে মো. আক্তারুজ্জামানের জায়গায় রশীদুজ্জামানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরা-১ থেকে ওয়াকার্স পার্টির মুস্তফা লুৎফুল্লাহর আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন মনোনয়ন পেয়েছেন। সাতক্ষীরা-২ আসনে মীর মোস্তাক আহমেদ রবির পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন আসাদুজ্জামান বাবু। আর সাতক্ষীরা-৪ থেকে এস এম জগলুল হায়দারের জায়গায় মনোনয়ন পেয়েছেন এস এম আতাউল হক।

বরিশাল বিভাগে যত পরিবর্তন

বরগুনার দুটি আসনের মধ্যে বরগুনা-২ থেকে শওকত হাচানুর রহমানের (রিমন) পরিবর্তে সুলতানা নাদিরাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। পটুয়াখালীর চার আসনে বর্তমান এমপিরাই আবার মনোনয়ন পেয়েছেন। পরিবর্তন নেই ভোলার চার আসনেও। তবে বরিশালের ছয় আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের যে চারটি আসন ছিল, তার মধ্যে দুটিতে বর্তমান এমপিদের বাদ দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

বরিশাল-২ আসনে মো. শাহে আলমের জায়গায় তালুকদার মো. ইউনুস এবং বরিশাল-৪ আসনে পংকজ নাথের জায়গায় দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ মনোনয়ন পেয়েছেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপুর বরিশাল-৩ আসনে নৌকা পেয়েছেন সরদার মো. খালেদ হোসেন, জাতীয় পার্টির নাসরিন জাহান রতনার বরিশাল-৬ আসনে নৌকা পেয়েছেন আবদুল হাফিজ মল্লিক।

ঝালকাঠির দুই আসনে বর্তমান এমপিরাই ফের মনোনয়ন পেয়েছেন। পিরোজপুর-১ আসনে শ ম রেজাউল করিম আগের মতোই প্রার্থী আছেন। তবে পিরোজপুর-২ থেকে জাতীয় পার্টির (জেপি) আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর আসনে কানাই লাল বিশ্বাস এবং পিরোজপুর-৩ থেকে জাতীয় পার্টির মো. রুস্তম আলী ফরাজীর আসনে নৌকা পেয়েছেন আশরাফুর রহমান।

ময়মনসিংহ বিভাগে মনোনয়নে নতুন যারা, বাদ যারা

জামালপুরের পাঁচটি আসনের মধ্যে তিনটি আসনেই নতুনদের বেছে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। জামালপুর-১ আসনে আবুল কালাম আজাদের পরিবর্তে নূর মোহাম্মদ, জামালপুর-৪ আসনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের পরিবর্তে মাহবুবুর রহমান ও জামালপুর-৫ আসনে মো. মোজাফফর হোসেনের পরিবর্তে সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ নৌকা পেয়েছেন। অন্যদিকে শেরপুরের তিনটি আসনের মধ্যে শেরপুর-৩ আসনে এ কে এম ফজলুল হকের বদলে এ ডি এম শহিদুল ইসলাম মনোনয়ন পেয়েছেন।

ময়মনসিংহ ১১টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের আসন ছিল ৯টি। এর মধ্যে মুখ বদল হয়েছে তিনটি আসনে। ময়মনসিংহ-৩ থেকে নাজিম উদ্দিন আহমেদের বদলে নিলুফার আনজুম, ময়মনসিংহ-৫ থেকে কে এম খালিদের বদলে আব্দুল হাই আকন্দ ও ময়মনসিংহ-৯ থেকে আনোয়ারুল আবেদীন খানের জায়গায় আব্দুস সালাম মনোনয়ন পেয়েছেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদের ময়মনসিংহ-৪ আসনে মোহাম্মদ মোহিত উর রহমান এবং জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের ময়মনসিংহ-৮ আসনে আব্দুছ ছাত্তারকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

এদিকে নেত্রকোনার পাঁচটি আসনের মধ্যে দুটিতে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। নেত্রকোনা-১ আসনে মানু মুজুমদারে বদলে মোশতাক আহমেদ রুহী এবং নেত্রকোনা-৫ আসনে ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের বদলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

প্রার্থীদের নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তার অনুসারীদের হর্ষধ্বনিতে কেঁপে উঠছিল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। ছবি: সুমিত আহমেদ/সারাবাংলা

ঢাকা বিভাগে মনোনয়নের যত রদবদল

টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে চারটি আসনে নতুন প্রার্থীরা মনোনয়ন পেয়েছেন নৌকা প্রতীকে। টাঙ্গাইল-৩ আসনে আতাউর রহমান খানের বদলে কামরুল হাসান খান, টাঙ্গাইল-৪ আসনে হাছান ইমাম খাঁনের বদলে মোজহারুল ইসলাম তালুকদার, টাঙ্গাইল-৫ আসনে ছানোয়ার হোসেনের বদলে মামুন-অর-রশিদ এবং টাঙ্গাইল-৮ আসনে জোয়াহেরুল ইসলামের বদলে অনুপম শাহজাহান জয় মনোনয়ন পেয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ-২ থেকে নূর মোহাম্মদের জায়গায় আবদুল কাহার আকন্দ এবং কিশোরগঞ্জ-৩ থেকে জাতীয় পার্টির মো. মুজিবুল হকের আসনে নাসিরুল ইসলাম খানকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

মানিকগঞ্জ জেলার তিন আসনের মধ্যে কেবল মানিকগঞ্জ-১ আসনে প্রার্থী বদল করা হয়েছে। সাবেক ক্রিকেটার নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের জায়গায় মনোনয়ন পেয়েছেন আব্দুস সালাম। মুন্সীগঞ্জে তিন আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের দুটিতে পরিবর্তন নেই। তবে বিকল্পধারার মাহী বি চৌধুরীকে ছেড়ে দেওয়া মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে এবার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদকে।

এদিকে ঢাকা জেলার ২০টি আসনের মধ্যে ৯টি আসনেই নতুন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ঢাকা-৪ আসনে জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেনের আসনে সানজিদা খানম, ঢাকা-৫ আসনে কাজী মনিরুল ইসলামের আসনে হারুনর রশীদ মুন্না, ঢাকা-৬ আসনে জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদের আসনে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ঢাকা-৭ আসনে হাজী মো. সেলিমের আসনে তার ছেলে মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম এবং ঢাকা-৮ আসনে ওয়াকার্স পার্টির রাশেদ খান মেননের জায়গায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ঢাকা-১০ আসনে মো. শফিউল ইসলাম বাদ চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও ঢাকা-১১ আসনে এ কে এম. রহমতুল্লাহর জায়গায় মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ঢাকা-১৩ আসনে সাদেক খানের জায়গায় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানককে। তিনি নবম ও দশম সংসদ নির্বাচনে এই আসনের প্রার্থী ছিলেন। আর ঢাকা-১৪ আসনে আগা খান মিন্টুকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলকে।

গাজীপুরের পাঁচটি আসনের মধ্যেও প্রার্থী বদলানো হয়েছে একটিতে। গাজীপুর-৩ আসনে মুহাম্মদ ইকবাল হোসেনের বদলে মনোনয়ন পেয়েছেন রুমানা আলী। নরসিংদীর পাঁচটি আসনের মধ্যেও কেবল নরসিংদী-৩ আসনে জহিরুল হক ভূঞা মোহন বাদ পড়েছেন। তার জায়গায় মনোনয়ন পেয়েছেন ফজলে রাব্বি খান।

নারায়ণগঞ্জের পাঁচ আসনের মধ্যে প্রথম গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক (নারায়ণগঞ্জ-১), নজরুল ইসলাম বাবু (নারায়ণগঞ্জ-২) ও শামীম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৪) মনোনয়ন পেয়েছেন আগের মতোই। জেলার বাকি দুটি আসন জাতীয় পার্টির। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আব্দুল্লাহ আল কায়সার মনোনয়ন পেয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। এই আসনে বর্তমান এমপি সেলিম ওসমান।

রাজবাড়ীর দুটি আসনে বর্তমান এমপিরাই ফের মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের তিন আসনের দুটিতে বদল এসেছে। ফরিদুপর-১ আসনে মনজুর হোসেনকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমানকে। ফরিদপুর-৩ আসনে সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক। এ ছাড়া ফরিদপুর-৪ আসটি ছিল স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের। এ আসনে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফর উল্যাহকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

এদিকে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে সংসদীয় আসন রয়েছে তিনটি করে। এই তিন জেলার ৯ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্যরাই ফের আওয়ামী লীগের হয়ে ভোট করবেন।

সিলেট বিভাগে মনোনয়নে যত পরিবর্তন

সুনামগঞ্জে পাঁচটি আসনের মধ্যে তিনটিতে নতুন প্রার্থী মনোনয়ন পেয়েছেন। সুনামগঞ্জ-১ থেকে মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের পরিবর্তে রনজিত চন্দ্র সরকার, সুনামগঞ্জ-২ থেকে জয়া সেন গুপ্তার পরিবর্তে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এবং সুনামগঞ্জ-৪ থেকে জাতীয় পার্টির এমপি পীর ফজলুর রহমানের আসনে সাবেক আমলা মোহাম্মদ সাদিক নৌকা পেয়েছেন।

সিলেটের ছয় আসনের মধ্যে সিলেট-২ আসনে এমপি ছিলেন গণফোরামের মোকাব্বির খান। তার আসনে শফিকুর রহমান চৌধুরী এবং সিলেট-৫ থেকে হাফিজ আহমদ মজুমদারের আসনে মাসুক উদ্দিন চৌধুরী মনোনয়ন পেয়েছেন।

মৌলভীবাজারের তিনটি আসনের মধ্যে দুটিতে পরিবর্তন এসেছে। মৌলভীবাজার-২ আসনে গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ছিলেন এমপি। এই আসনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল মনোনয়ন পেয়েছেন। মৌলভীবাজার-৩ আসনে নেছার আহমদের জায়গায় মনোনয়ন পেয়েছেন মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান।

হবিগঞ্জের চারটি আসনের দুটিতেও বর্তমান এমপিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। হবিগঞ্জ-১ আসনে গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজের পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন ডা. মো. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, হবিগঞ্জ-২ আসনে আব্দুল মজিদ খানের বদলে ময়েজ উদ্দিন শরীফ।

চট্টগ্রাম বিভাগে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে রদবদল

ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে কেবল ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে মোহাম্মদ এবাদুল করিমের পরিবর্তে ফয়জুর রহমানকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বাকি আসনে বর্তমান এমপিরাই থাকছেন প্রার্থী।

চাঁদপুরের পাঁচটি আসনের মধ্যে দুটিতে প্রার্থী পরিবর্তন করেছে আওয়ামী লীগ। চাঁদপুর-১ আসনে মহীউদ্দিন খান আলমগীরের আসনে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ মনোনয়ন পেয়েছে। আর চাঁদপুর-২ আসনে নুরুল আমিনের বিপরীতে মনোনয়ন পেয়েছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম।

কুমিল্লা জেলার ১১টি আসনের মধ্যে কুমিল্লা-১ আসনে সুবিদ আলী ভূঁইয়ার জায়গায় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আব্দুস সবুরকে এবং কুমিল্লা-৮ আসনে নাছিমুল আলম চৌধুরীর পরিবর্তে আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিনকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বাকি ৯ আসনেই বর্তমান এমপিরাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

ফেনী-২ আসনে দলের প্রার্থীর বদল হয়নি। তবে জেলার তিন আসনের বাকি দুটি আসন ছিল জোটের শরিকদের। এর মধ্যে ফেনী-১ আসনে আলাউদ্দিন নাসিম ও ফেনী-৩ আসনে আবুল বাশারকে এবার দল মনোনয়ন দিয়েছে।

নোয়াখালী জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে একটিতে প্রার্থী পরিবর্তন হয়েছে। নোয়াখালী-৬ থেকে আয়েশা ফেরদাউসের জায়গায় তার স্বামী মোহাম্মদ আলী মনোনয়ন পেয়েছেন। লক্ষ্মীপুরের চার আসনের মধ্যে দলের তিন এমপি থাকা আসনে প্রার্থী বদল হয়নি। তবে বিকল্পধারার আবদুল মান্নানের লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে এবার দলের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলীকে নৌকায় প্রার্থী করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে জাতীয় পার্টি ও জোটের শরিক দলগুলোর আসনসহ পাঁচটি আসনে নতুন প্রার্থীরা মনোনয়ন পেয়েছেন। চট্টগ্রাম-১ থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের আসনে তার ছেলে মাহবুব উর রহমান, তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর চট্টগ্রাম-২ আসনে খাদিজাতুল আনোয়ার, চট্টগ্রাম-৪ আসনে দিদারুল আলমের পরিবর্তে এস এম আল মামুন, জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদের চট্টগ্রাম-৫ আসনে মোহাম্মদ আবদুস সালাম এবং চট্টগ্রাম-১২ আসনে সামশুল হক চৌধুরীর বদলে মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী মনোনয়ন পেয়েছেন।

কক্সবাজার জেলার চার আসনের মধ্যে একটি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। কক্সবাজার-১ থেকে জাফর আলমের পরিবর্তে নৌকা পেয়েছেন সালাহ উদ্দিন আহমদ।

আরও পড়ুন-

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন